Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্বামীর খরচে প্রবাসে গিয়ে প্রতারক স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে খলিলুর রহমান (৪৫)।
প্রতিকার পেতে ইতিমধ্যে তিনি থানায় সাধারন ডায়েরী অন্তর্ভূক্ত করেছেন।যাহার ডায়েরী নং- ৯০৯২২ ও তারিখ ১৪/২/২০২৫ ইং। অভিযুক্ত স্ত্রী যশোর জেলার সদর থানাধীন পতেঙ্গালী গ্রামের আয়ুব আলীর কন্যা আশা ( ৩৭)।
ভূক্তভোগী খলিল গনমাধ্যমকর্মীদের জানান,তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর উভয়পক্ষের সন্মতিতে প্রবাস জীবনে ( মালেশিয়া) থেকেই তালাক প্রাপ্ত ও দুই সন্তানের জননী আশাকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক গত ২৫ মে ২০২৪ ইং তারিখে রেজিস্ট্রি করিয়া বিবাহ করেন। যাহার রেজিস্ট্রি নামার ২০/২৪,বালাম নং-২১৫ ও পৃষ্টা নং-২০।
বিবাহত্তোর খলিল তার স্ত্রী আশাকে ৩ লাখ টাকা খরচ করিয়া মালেশিয়া নিয়ে ঘরসংসার করতে থাকেন। সংসার জীবনে আশা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরপুরুষের সহিত চ্যাট ও ফোনালাপ করিতে থাকিলে খলিলএ কাজে বাধ সাধেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশা তার পিত্রালয়ে ফিরে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে খলিল পুনরায় বিমানের টিকিটি কিনে স্ত্রী আশাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।
বিমান বন্দর হতে বাসায় গিয়ে খলিল দেখতে পায় আশা খলিলের গচ্ছিত নগদ টাকা ও ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার চুরি করে বাংলাদেশে ফিরেছে। যাহার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা।
তাৎক্ষনিক খলিল ফোন কলে আশাকে স্বর্ণালংকার চুরি কারার বিষয়টি অবহিত করলে আশা তাহাকে নানা ভাবে মামলায় ফাঁসানোসহ প্রাননাশের হুমকী দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
বিয়য়টি জানতে অভিযুক্ত আশার সহিত যোগাযোগ করলে আশা জানান,খলিল নেশাগ্রস্থ তাই তাকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন।টাকা ও স্বর্ণালংকর তিনি নিয়ে আসেন নি।
পতেঙ্গালী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান,ইতিপূর্বেও আশা প্রবাস জীবন কাটিয়েছে ও তার ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। খলিলের সহিত বিবাহের কথা জানলেও আশা যে তালাক দিয়েছে এটা তারা অবগত নন।
ভূক্তভোগী স্বামী খলিল তার স্ত্রীর দেওয়া তালাক প্রত্যাখান করে ন্যয়বিচার পেতে আদালতে মামলা করবেন বলে আরো জানান।