Advertisement
ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:
এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক মো. মনির কামাল এ আদেশ দেন।
ছাত্রলীগ কর্মীর নাম ইকরামুল ইসলাম (৪৭)। সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আতিকুল ইসলাম আঙ্গুরের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি এজাজ উদ্দিন বলেন, 'আসামি জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি জলিল ও সামাদ পলাতক রয়েছে।'
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এলাকার বাসিন্দা সিলেট সাবেক আরটিভি'র রিপোর্টার এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়ান এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারি ছাত্রলীগের সদস্য ইকরামুলসহ তার সহযোগীরা। এ অভিযোগে সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম বাদি হয়ে একই বছরের ৩০ আগস্ট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা (১৬৪/২৩) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি ফরেনসিক রিপোর্টসহ আদালতে ২০২৪ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম বলেন, 'সীমান্তে চোরাচালান নিয়ে বেশ কিছু অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছিলাম। এর পর থেকে ইকরামুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম পংকি, ছাত্রলীগের সামাদসসহ কিছু নামধারী ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার মানহানি করতে উঠে পড়ে লাগে। ফেসবুক কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ায়। আমার সাবেক কর্মস্থল আরটিভির নির্দেশনায় আমি বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ তার জামিন নামঞ্জুর হয়েছে বলে জেনেছি।'