Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
ব্যবসায়ী বেল্লাল চৌকিদারকে কুপিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ ওঠেছে এক বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার উদ্যোগ নেয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ কবির ফকির ও তার লোকজন প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যবসায়ী এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ী বেল্লাল চৌকিদার।
জানাগেছে, গত ২৭ জানুয়ারী ইউনিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আমতলী পৌরসভার বটতলা ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের ইউনিক কাউন্টার সামসুল হক চৌকিদারকে লিখিত কাউন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু গত শনিবার ওই কাউন্টার পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির ফকির ও তার লোকজন জোরপুর্বক দখল করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদারের চাচাতো ভাই মেসার্স মায়ের দোয়া টেডার্সের মালিক বেল্লাল চৌকিদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পৌর বিএনপি আহবায়ক কবির ফকিরের নেতৃত্বে তার চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকিরসহ ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসীরা দোকানে হামলা চালায়। ওই সময় ব্যবসায়ী তাদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে আট লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী বেল্লাল চৌকিদারের। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় মামলার উদ্যোগ নেয়া হলে বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীরা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে তিনি আইনগ গত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। দ্রæত বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
ব্যবসায়ী বেল্লাল চৌকিদার বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কবির ফকির ও তার লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। আমি এতে বাঁধা দিলে আমাকে কুপিয়ে ক্যাশ বাক্সে ভেঙ্গে আট লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি মামলার উদ্যোগ নিলে বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমি এ ঘটনায় কবির ফকির ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির ফকির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সামসুল হক চৌকিদার আমার লোকজনকে মারধর করেছে। আমি ও আমার লোকজন কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও টাকা লুট করেনি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।