lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-21T06:56:46Z
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ভাষা আন্দোলন ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন : মঈন খান

Advertisement


 

হাজী জাহিদ,নরসিংদী:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল আমি বিশ্বাস করি সেটা শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, এটা মানুষের যে চিরন্তন অধিকার আদায়ের আন্দোলন, তারই প্রতিচ্ছবি ছিল ৫২ এর ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। 


আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কেন্দ্রীয়  শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন তিনি।


ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, ছাত্ররা ১৯৬২ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। তারা পরবর্তীতে ১৯৬৯ প্রতিবাদ করেছিল। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ছাত্ররা থেমে থাকেনি তারা ১৯৯০ সালে আবার এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। তাই আমি বলেছি ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, ভাষা আন্দোলন ছিল এই বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। 


তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে বিএনপি সহ সকল গণতন্ত্রকামী দলগুলো যখন প্রতিবাদমুখর হয়ে রাজপথে সরব ছিল তখন অত্যাচারী সরকার ও স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদের ৫০ লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসামি করেছিল। এখানে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে, তাদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দেয়নি। আমাদের তৃনমুল নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি, তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ফ্যান ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। স্বৈরাচারের ভয়ে উপয়ান্তর না পেয়ে ধান ক্ষেত ও গজারিয়া বনে গিয়ে রাত কাটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচার বুঝতে পারে না, তারা কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে, কিন্তু চিরদিনের জন্য স্থায়ী হতে পারে না। ২০২৪ সালে জুলাই আগস্টে  ছাত্র-জনতা যখন ফুসে উঠেছে সেই চুরান্ত মুহুর্তে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কথা সেটা নয় কথা হলো, অন্যায় কখনো চিরস্থায়ী হতে পারে না।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার,  সহ-সভাপতি এডভোকেট কানিজ ফাতেমা, আওলাদ হোসেন জনি, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, মোস্তাফিজুর রহমান টিপু, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়াসহ পলাশ উপজেলার পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।