lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-18T06:39:05Z
আইন ও অপরাধ

আটঘরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Advertisement


 


আলমগীর হুসাইন অর্থ :

দোকান বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে পাবনার আটঘরিয়ায় নাফিজ কামাল (২৭) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে আটঘরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


নিহত নাফিজ কামাল আটঘরিয়া পৌরসভার রুস্তমপুর মহল্লার নাজমুল হুদার ছেলে। রুস্তমপুর বাজারে তাঁর ভুসি মালের দোকান রয়েছে। 


অভিযুক্ত দোকান মালিক হলেন আটঘরিয়া পৌরসভার কুষ্টিয়াপাড়া মহল্লার আমানত আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম। তিনি আটঘরিয়া বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুদি দোকানি জাহিদুল ইসলামের দোকানে বাকিতে নিত্য-প্রয়োজনীয় মালামাল নিতেন অপর ব্যবসায়ী নাফিজ কামাল। এভাবে নাফিজ কামালের প্রায় ১০ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে যায় জাহিদুল ইসলামের দোকানে। এ নিয়ে নাফিজ কামাল এর কাছে বেশ কয়েকবার দোকান বাকির টাকা চেয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি টাকা দেননি।


সোমবার সকালে জাহিদুল ইসলাম বেশকিছু লোক নিয়ে রুস্তমপুর বাজারে নাফিজ কামালের দোকানে গিয়ে বকেয়া টাকা চান। টাকা না পেয়ে একপর্যায়ে নাফিজ কামালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান জাহিদুল ও তাঁর লোকজন।


পরবর্তীতে রাতে জাহিদুল এর দোকানের সামনে যান নাফিজ কামাল। এ সময় বাকী টাকা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকান থেকে বেরিয়ে জাহিদুল ইসলাম আশপাশে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার লোকজন নিয়ে নাফিজ কামালকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। মারধরের মাঝে নাফিজ কামালকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করা হয়।


তাঁর চিৎকারের স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত নাফিজ কামালকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ওসি আরো জানান, কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।