lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-27T10:41:00Z
আইন ও অপরাধ

বড়লেখায় শিশুসহ তরুণীকে প্রহার ও দোকান ভাংচুরের ঘটনায় তিন জন গ্রেপ্তার

Advertisement


 

ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় শিশুসহ তরুণী ও তরুণের উপর হামলা এবং দোকান ভাংচুরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) রাতে বড়লেখার টেস্টি ট্রিট নামের ফাস্ট ফুড দোকানে শিশুসহ তরুণ-তরুণীদের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন আহমেদ মোস্তফা তোফায়েল (১৯), শফিকুল ইসলাম আদিল (৩০) ও নাইম আহমেদ (২৪)। তারা প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স নামের সংগঠনের সদস্য। 

থানা সূত্রে জানা যায়, বুধরাত (২৬ ফেব্রæয়ারি) রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় জনৈক বিলাস দাস এবং প্রশান্ত পাল নামে দুই হিন্দু যুবক তাদের পরিচিত দুইজন মুসলিম তরুণীসহ বড়লেখা বাজারের টেস্টি ট্রিট নামের ফাস্ট ফুড দোকানে নাস্তা করতে যান। এসময় সেই দোকানে অবস্থান করা প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স নামের সংগঠনের ৩-৪ জন সদস্য তাদেরকে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে সেই সংগঠনের আরো ২০-২৫ জন উচ্ছৃঙ্খল তরুণ সেখানে এসে তারা অসামাজিক কাজ করছে দাবি করে সেই তরুণ-তরুণীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে এবং এক তরুণীর কোলে থাকা শিশুসহ তাদের প্রহার করে তরুণীর ব্যাগে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তরুণ-তরুণীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক বড়লেখা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত তরুণ-তরুণীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পরপরই প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স সংগঠনের সদস্যরা টেস্টি ট্রিট ফাস্ট ফুড দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহমেদ মোস্তফা তোফায়েল (১৯), শফিকুল ইসলাম আদিল (৩০) ও নাইম আহমেদকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন, ‘হামলা চালিয়ে তরুণ-তরুণী ও শিশুকে আহত করার ঘটনা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া টেস্টি ট্রিট ফাস্ট ফুড দোকান ভাংচুরের ঘটনায় পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘একদল লোক পরিকল্পিতভাবে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ এই বিষয়ে সজাগ রয়েছে।’