Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুরে ব্যক্তিমালিকানার জমি ইজারা না দেওয়ায় বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও নারীদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
শনিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত্রি ২ টার দিকে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া এলাকার গোলাম মোস্তাফার বাড়িতে ঘটেছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মোস্তফা দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোলাম মোস্তফা দাওকান্দি সরকারি ডিগ্রি কলেজের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক।
থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিবাদী উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের সলিম উদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিন, মৃত বেশারতের ছেলে মন্টু(৪৮), রইস উদ্দিনের ছেলে ইসরাফিল হোদা(৪০),সেবারতের ছেলে আলমগীর, রশিদের ছেলে সবুজ(২২), সলিম উদ্দিনের ছেলে গিয়াস(৩৫),জিন্নাত(৫০), কসিমের ছেলে শাওন(২২), মোজাহারের ছেলে মোস্তফা(৪০), ইয়াদ আলীর ছেলে বুলবুল(৩৫), মুখলেসের ছেলে সিদ্দিক(৬০), মৃত সিরাজের ছেলে কালাম(৫০) উল্লেখিত ব্যাক্তিরা ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই সাইফুল ইসলামের নিকট হতে নারিকেল বাড়িয়া মৌজার ৫ বিঘা জমি ইজারা নিতে চাই। জমি ইজারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদীরা ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধামকি দেয়।
অভিযোগে আরও জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত্রি অর্থাৎ শুক্রবার রাত্রি ২ টার দিকে জমির মালিক মোস্তফার বাড়িতে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, চাপাতি, রামদা, হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালায়। বাড়িতে মোস্তফা না থাকায় মোস্তাফার স্ত্রী বিলকিস বিবি(৪০) ও বোন পারুলকে(৫৫) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণ করে। এমন সময় নিষেধ করলে বিবাদীরা বাড়িতে থাকা দুই মহিলাকে মারধর করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর, বাড়িতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে আমার ও আমার ভাইয়ের ৫ বিঘা জমি জমি স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী লোকজন ইজারা চাইছেন। একই জমি আমি পূর্বে একজনকে দিয়েছি। এজন্যই তাদেরকে পুনরায় জমি ইজারা দেব না বলে অপারগতা প্রকাশ করি এতেই আমার ওপরে ক্ষিপ্ত স্থানীয় বিএনপির লোকজন।
গোলাম মোস্তফা আরও জানান, গত শুক্রবার রাত্রিতে আমি বাসায় থাকলে হয়তো আমকে হত্যা করত। বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রী ও বোনকে মারধর করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও আমার স্ত্রীর স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দূরুল হোদার মুঠোফোনে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরে কথা বলছি বলেই কল কেটে দেন। পরবর্তী প্রায় ঘন্টাখানেক পরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ না করায় ওসির বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।