Advertisement
মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্য রেখায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা কে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১নং পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর সাব পিলার ৯ এর পাশে শূন্য রেখার একটি ইউক্লিপটাস গাছে রবিবার গভীর রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ভারতীয়
বিএসএফ ছোট গাড়ল জোড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবেকে জানালে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানান এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন। তবে সোমবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএসএফ সিসি ক্যামেরা খুলেনি।এ নিয়ে বিজিবি –বিএসএফের একাধিক আলোচনা হলেও বিএসএফ ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বলে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম, শাহাদাত, ও আব্দুল কালাম জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে স্থাপিত ২শ বছরের পুরাতন আলোচিত দুই দেশের এক মসজিদটি পুনঃ: নির্মাণ চলছে। এই মসজিদকে ঘিরে বিএসএফ মসজিদের সন্নিকটে রাতের আধাঁরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। যেটি আমাদের নিরাপত্তার সংকট সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণ বাঁজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের এই মসজিদটিতে ভারত–বাংলাদেশের মানুষ নামাজ পড়েন। মসজিদটি আমাদের পূর্বপুরুষ স্থাপন করেছেন। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্ত রেখা টানা হলেও আমাদের সম্পর্ক ভাগ হয়নি। তখন থেকে আমরা একসাথে একি মসজিদে নামাজ পড়ি। মসজিদটি পুরাতন হয়ে গেলে নতুন করে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এতে বিএসএফ বাঁধা দেয়। তাদের বাঁধায় দুই বছর বছর থেকে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের আধাঁরে তারা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে। বিজিবি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তা করেনি বিএসএফ।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে: কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে, তারা ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।