Advertisement
নুরুল করিম (মহেশখালী) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী উপজেলায় শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী “মহেশখালী বইমেলা”
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উপজেলার দিঘিরপাড়ে আগুনের পরশমণি চত্বরে আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধন করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ্।
পরে মহেশখালী পুরাতন উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, মহেশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হয়নি। এগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। মহেশখালী মানুষ তৈরির উর্বর ভূমি। কিন্তু মহেশখালীতে এখন তা শঙ্কাজনক হারে কমছে। মহেশখালীতে বিভিন্নভাবে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। মহেশখালীকে আমরা চাইলে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারি। তার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা।
বইমেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, এবারের বইমেলা একটি প্রতীকী বইমেলা। যেটি ছোট আকারে আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে বড় আকারে বইমেলা আয়োজন করা হবে। যেখানে বড় বড় প্রকাশনী থাকবে, কবি-লেখকদের আড্ডা হবে।
মহেশখালী বইমেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. বেলাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী সহকারী কমিশনার ভূমি দীপক ত্রিপুরা, কবি ও অনুবাদক রুহুল কাদের বাবুল, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ আলম, কবি, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক জহির সিদ্দিকী সহ অনেকে।
এসময় বইমেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব, এম. এনামুল হক বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মক মোবাইলের দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে। তাদেরকে বইমুখী করার জন্য এবং অমর একুশের চেতনা জানান দেওয়ার জন্য আমাদের এই আয়োজন। বইমেলায় ১০ টি স্টল রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন প্রকাশনী অংশ নিয়েছে। বইমেলায় বই প্রদর্শন ও বিপণনের পাশাপাশি আলোচনা, কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে।