lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-20T05:25:20Z
আইন ও অপরাধ

মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ ডাকাত কানা জহিরের অপকর্ম

Advertisement


 


এম এইচ শাহীন:

 মুন্সীগঞ্জের মেঘনার শীর্ষ নৌ- ডাকাত চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে মেঘনার নৌপথ। মেঘনা- ধলেশ্বরী নদীতে চাঁদাবাজি, চোরাকারবারি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে মেঘনায় গোলাগোলিতে দুইজন নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে মেঘনা এখন কিছুটা শান্ত। এখনো থামেনি নৌডাকাতদের তৎপরতা। আবারো ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠছে। এতে শঙ্কিত স্থানীয়রা নৌপথের যাত্রী ও মেঘনা- ধলেশ্বরী তীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেঘনায় গোলাগোলিতে শীর্ষ ডাকাত কানা জহিরের ও তার গ্রুপের ডাকাত সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পরও মেঘনার শীর্ষ ডাকাত কানা জহির ও তার গ্রুপের কোন সদস্যদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করতে পারেনি। কানা জহির গং মেঘনা ও তার আশেপাশে এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে মেঘনায় উত্তোলিত চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নৌপুলিশ ও কানা জহির গংয়ের দুইপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনার ৫ দিন পর (৫ ফেব্রুয়ারি) ডাকাত বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম কানা জহিরকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় চাঁদপুরের মতলব থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ মামলার বাদী হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর গ্রামের নিহত রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম। সীমানা জটিলতার কারণে হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর এই মামলা হয়। এই মামলায় নৌডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ১২-১৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এরপরও থেমে থাকেনি কানা জহিরের অপরাধের সাম্রাজ্যে। দুইটি হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৩১ জানুয়ারি সকালে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা নারী পিংকিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করা হয়। একই দিন বিকেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে, মেঘনার শীর্ষ জলদস্যু কানা জহিরকে আসামি করে ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী শাহনাজ বেগম পিংকির স্বামী সম্রাট বেপারী। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাজে বাধা, গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে শীর্ষ ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরসহ ১৪ জনের নামে পৃথক দু'টি মামলা করা হয়। সদর উপজেলার চর- আব্দুল্লাহ নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এর আগে (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে পুলিশ ও মেঘনার নৌ- ডাকাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহির বাহিনীর মধ্যে এ গুলিবিনিময় হয়। গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে ১১টি ককটেল, ১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার ও ডাকাত দলের ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট জব্দ করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কানা জহিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ মোট ২৭ টি মামলা রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর গজারিয়া ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানায়। তার বাহিনীর প্রধান কালিরচর গ্রামের মামুন, জুলহাসহ ১৫-২০ জনের একটি ডাকাত বাহিনী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। মেঘনার জলদস্যুদের আটকে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, শিগগিরই তালিকাভুক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে, এতে যারাই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে কোন দেওনের ছাড় দেওয়া হবে না।