Advertisement
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ এর চেষ্টায় শফিকুল ইসলাম সৌরভ (৩০) নামে এক ইজিবাইক চালককে গ্রেফতার করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ।
জানা যায় বুধবার ১২ ই মার্চ বিকেলে তাকে পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর দর্জিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ইজিবাইক চালক এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলারপর শুনানি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলি আদালত ১ এর বিচারক জাহিদ হোসেন তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
পরে তাকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল এর মাধ্যমে জেল হাজতে পৌছানো হয়। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে সদর থানার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।
পঞ্চগড় থানা পুলিশ মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশেই খেলছিল এ সময় নিকটতম প্রতিবেশী সৌরভ কৌশলে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে তার মা খুঁজতে গিয়ে সৌরভের ঘরে দেখতে পান,পরে ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্ত সৌরভ শিশুটির বাবাকে মাধর করে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলে তারা দোষীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।
অভিযোক্ত রিক্সাচালক সৌরভ একজন মাদকাসক্ত। বছর খানেক আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায় । এরপর নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশীরা সালিশ বৈঠক ও করেছেন বলে যানা যায়।
শিশুটির প্রতিবেশী মাহমুদুল হাসান নিশাত বলেন আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমরা তার বাবা,মা অন্যদের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে শিশুটিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলো। সেই খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এজন্য আমরা থানায় ভীড় করছি, আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই । যাতে করে সমাজে এমন কেউ কিছু করার সাহস না পায়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তারব আবুল কাশেম বলেন শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিকভাবে বলা যাবে।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস, এম মাসুদ পারভেজ বলেন শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শিশুটির মা বাদি হয়ে ধর্ষণের মামল করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেফতার করেছি, আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।