Advertisement
আল আমিন হোসেন, পাবিপ্রবি:
শনিবার (১৫ মার্চ) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করার বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
আওয়াল কবির জয়ের বরখাস্তের বিষয়ে গত বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, "জনাব ড. মো. আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালি ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনসংগত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্যে অবহেলা এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর এহেন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।"
তদন্ত করে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি পূর্বের প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাস অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পর অনলাইনে ক্লাস নেয়ার অনুমতি চাইলে তা দেয়া হয়নি। এরপর গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন থেকে তাকে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি তা অমান্য করেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করার বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।আওয়াল কবির জয়ের বরখাস্তের বিষয়ে গত বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ড. মো. আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালি ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনসংগত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্যে অবহেলা এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর এহেন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
তদন্ত করে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি পূর্বের প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাস অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পর অনলাইনে ক্লাস নেয়ার অনুমতি চাইলে তা দেয়া হয়নি। এরপর গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন থেকে তাকে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি তা অমান্য করেন।
এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি আওয়াল কবির জয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা সাময়িক খুশি। তবে আমরা এই খুনির স্থায়ী বহিষ্কার চাই। একজন খুনির জায়গা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না। প্রশাসন যেন নিশ্চিত করে যে ভবিষ্যতে এই খুনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেটাই আমাদের দাবি।"
আওয়াল কবির জয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।