বরগুনা প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ের জমি বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষক মোসাঃ সেলিনা আক্তার বেবি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় জমিদাতার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পুর্ব হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুর্ব হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে পাঁচজনে মিলে ৬১ শতাংশ জমি দেয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে প্রাচীরের মধ্যে মাত্র ১.৬৭ শতাংশ জমি রয়েছে। অবশিষ্ট ৫৯.৩৩ শতাংশ কৃষি জমি। ওই কৃষি জমি প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বেবি গত ৩৩ বছর নগদ টাকায় বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমিদাতারা অভিযোগ দেয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জমি ছেড়ে দিতে বলেলেও তিনি তা মানছেন না। জোর করে তিনি ওই জমি টাকা আত্মসাৎ করছেন। জমিদাতা আলতাফ হোসেন মোল্লার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।
Advertisement
জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বেবি বিদ্যালয়ের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বেবি আমার জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন। কিন্তু আমার জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, প্রধান শিক্ষক জমি বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বেবি বলেন, বিদ্যালয়ের জমি বদলে অন্য জমি ভোগদখল করা হচ্ছে। আমি বিদ্যালয়ের জমির কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, এ বিদ্যালয়ের জমির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই জমি পরিমাপ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিতে দিতে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের জমি অন্য কেউ ভোদদখল সুযোগ নেই। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।