lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
Last Updated 2025-03-14T14:21:12Z
জাতীয়

পঞ্চগড় বিভিন্ন মহল কে ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন

Advertisement


 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলার মধ্যে তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের নামে চলছে অবৈধ শত শত ড্রেজার মেশিন  দিয়ে পাথর উত্তোলন।


 স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকেরা বলছেন এতদিন প্রশাসনের লোকজন ড্রেজার মেশিনের উপর নিষেধ ছিল তাই কেউই ড্রেজার মেশিন তো দূরের কথা একটি ছ্যালো মেশিন নামানোর সাহস পায়নি। 


আর এখন অনায়াসে শত শত ড্রেজার মেশিন দিয়ে সমতল ভূমির গভীর থেকে উত্তোলন করছে পাথর। 


ভবিষ্যতে তেতুলিয়া ভজনপুর এলাকার মানুষের কপালে কি ধরনের দুর্ভোগ আসবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানে। প্রশাসনের লোকজনের কাছে আমাদের দাবি আমাদের এই সুন্দর সবুজ শ্যামল প্রকৃতির লীলাভূমি বাঁচাতে  পঞ্চগড় থেকে এসব অবৈধ্য ড্রেজার মেশিন বন্ধ করা হোক। 


আমরা জানি এতদিন প্রশাসনের নজরদারি ছিল বলেই এসব ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করতে সাহস পাইনি কেউ, এখন কিভাবে পাচ্ছে।


পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় আবারো ফসলি জমির বুক চিরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে পাথর উত্তোলন  কমে আসছে আবাদি জমি ঝুকিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা। পরিবেশ বিধদের গবেষণায় বলেছিলেন ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের কারণে তেতুলিয়ায় তীব্র ভূমিকম্প হলে প্রায় ৩০ ফিটেরো বেশি নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তেতুলিয়া উপজেলা।


কিন্তু কে শুনে কার কথা কাঁচা টাকার লোভে শ্রমিকের দোহাই দিয়ে আবারো নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে সমতল ভূমির প্রায় ৫০ ফিট গভীর থেকে চলছে পাথর উত্তোলন। আর এসব পাথর উত্তোলন করছে পঞ্চগড় তেতুলিয়া উপজেলার প্রতাপ  ও প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা।  


পঞ্চগড় তেতুলিয়া উপজেলায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে গম ক্ষেত ভুট্টা ক্ষেত বাদাম ক্ষেত এর ফসল নষ্ট করে পাথর উত্তোলন করছে পাথর ব্যবসায়ীরা। 


একটি পাথরের খাদে প্রায় তিন থেকে চারটি করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে পাথর উত্তোলন করছেন তারা। সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের কথা থাকলেও তারা এখন পাথর উত্তোলন করছে পূর্বের  ন্যায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে।


বিশেষ একটি সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা। 


এসব পাথর উত্তোলন শ্রমিকরা পায় মাত্র ৫০০ টাকা মজুরি । কিন্তু এই পাথর উত্তোলন করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা। 


স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি সবুজ প্রকৃতি বাঁচাতে এসব অবৈধ ড্রেজার মেশিন অতিশীঘ্রই বন্ধ করা হোক।