lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
Last Updated 2025-03-10T15:04:18Z
আইন ও অপরাধ

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর উপর হামলা, থানায় মামলা !

Advertisement


 


 মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

চাঁদা দাবির পর না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের শিবগঞ্জের রসুলপুর শারালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার (৯ মার্চ) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত ২০ নামে একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির কার্য সহকারী রেজওয়ানুল হক। প্রতিবাদে পালন করছে কর্মবিরতি। এতে থমকে আছে উন্নয়নমূলক সব কাজ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে IRIDP-3 প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে রসুলপুর টু শিবগঞ্জ শারালী সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সড়কের কার্পেটিং কাজ করছিলো শ্রমিকরা। এ সময় ঐ এলাকার আলম, আবু হোসেন মতিউর ও আরিফসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনের একটি দল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) কার্য সহকারী রেজওয়ানুল হকের পথরোধ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে না পারায় সড়কের কার্পেটিং কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে মারধর করে। এতে রেজওয়ানল হক গুরুতর আহত হয়।

খবর পেয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন সৌরভ, উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুস সাকিব আকাশ ও ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলাম রেজওয়ানুল হককে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে তাদের উপরেও হামলা করে। পরে তারাও আহত হলে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনার পর এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।  আসামিরা হলেন, সদরের শিবগঞ্জ শারালী এলাকার মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মো. আলম (৫০), জলিলের ছেলে আবু হোসেন (৫০), মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মতিউর (৩৫) ও মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ (২৫)। এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানান, কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা যদি মারধরের শিকার হয়। তাহলে কাজ করব কীভাবে। জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে আমাদের। মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাই কর্মবিরতি পালন করছে সবাই। আসামীরা গ্রেফতার হলে আতঙ্ক কাটবে। কাজে ফিরবে সবাই। আর এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে ।