lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
Last Updated 2025-03-23T13:29:04Z
কৃষি

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা

Advertisement


 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও পেঁয়াজের বীজ চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে চাষিদের মাঝে। এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ বলছে এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পতিলা ভাষা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বারেক । ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শুরু করেন পিঁয়াজের বীজ চাষের কাজ। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় এবারে ৫ একর জমিতে করেছেন এই পিঁয়াজের বীজ চাষ। বাজারে ভালো দাম পেলে যা বিক্রি করবেন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। তার উৎপাদিত পিঁয়াজের বীজ বিভিন্ন ঠাকুরগাঁও জেলায় দিচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু আব্দুল বারেক নয় তার মতো ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন কৃষক পেঁয়াজ চাষে পেয়েছেন সফলতা। এবারে বাজারে ভালো দাম পেলে আগামীতে আরও বেশি পেঁয়াজের চাষ বাড়বে বলে ধারণা স্থানীয় চাষিদের। বর্তমানে সকাল হলেই এসব বীজ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। কেউ সেচ দিতে,কেউ হাতের আলতো ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে ব্যস্ত। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরাও এসব কাজ করছেন। পেঁয়াজ ক্ষেতে দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন অনেকেই। যাতে করে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতাও। তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক বলেন,শুরুটা ছিলো ৩৩ শত জমি দিয়ে। তাতে ভালো লাভবান হওয়ায় পরবর্তীতে আবারো করি পেঁয়াজ বীজের চাষ। এবারে ৫ এক জমিতে করেছি। যে পরিবার খরচ হয়েছে আশা করি তার থেকে বেশি লাভবান হবো। এই পেঁয়াজ বীজ নিজের ক্ষেতে উৎপাদন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠাই। আমি আশা করি এবারে আমার এই ক্ষেত থেকে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার লাভ করতে পাড়বো। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি বছরে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫৪৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬১২ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের আশায় রয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ - পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সব থেকে বেশি চাষ হয় পেঁয়াজ বীজের। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এই পেঁয়াজ বীজের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।