lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
Last Updated 2025-03-04T12:30:57Z
আইন ও অপরাধ

গাইবান্ধায় অবৈধ ইটভাটা রক্ষার চেষ্টায় মালিকগণের লোক দেখানো মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

Advertisement


 

আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা ::

পরিবেশ, কৃষি, জলবায়ু ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপুর্ন অবৈধ ইটভাটা গুলো বন্ধে সচেতন মানুষ ও পরিবেশবিদগণ দীর্ঘদিন হলো আন্দোলন সংগ্রাম করা পাশাপাশি আইনী চেষ্টা চলমান রেখেছেন। এর ধারাবাহিকতায় সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।


এ রিটের আলোকে সারাদেশের সব অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 


হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ও গাইবান্ধা জেলা জুড়ে অবৈধ ইটভাটা গুলো রক্ষায় অবৈধ ভাটা মালিকগণ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে অবৈধ ভাটা রক্ষার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সাঘাটা,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়  এ বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির ব্যানারে লোক দেখানো এ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালিত হয়।  


অপরদিকে অবৈধ ইটভাটা রক্ষায় ভাটা মালিকদের ভাড়া করা লোকজন দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও অবৈধ ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের সচেতন মানুষ। তারা হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটার উচ্ছেদ এর জন্য জেলা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান।


উল্লেখ্য, সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিগত ২৮ নভেম্বর তারিখে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশ পাওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় আগের বন্ধকৃত ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধকৃত ইট ভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।