Advertisement
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি বাড়ির আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় বসতঘরে আটকা পড়ে এক গৃহবধূ ও ১২টি ছাগল মারা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামের আব্দুর রহিম কাজীর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। নিহত গৃহবধূ আদেলা বেগম আসনা গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
প্রতিবেশী আসাদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ জিয়ারুলের বাড়িতে আগুনের ধোঁয়া থেকে এলাকার লোকজন ছুটে যায়। যে যার মতো আগুন নেভানোর জন্য পানির ব্যবস্থা করতে থাকে। ১৫ মিনিট পরেই ঈশ্বরদী ও লালপুরের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। একে একে ৬টি বাড়ির ১৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য পাবনা, ঈশ্বরদী, লালপুর, পাকশী ইপিজেডসহ ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট এক যোগে কাজ করে। এ সময় ঘরে আটকা পড়ে জিয়ারুলের স্ত্রী আদেলা বেগম মারা যান।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পরিষদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ৬টি পরিবারের ১৩টি ঘর পুড়ে গেছে। এ সময় একজন গৃহবধূ ও ১২টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও কম্বল প্রদান করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছি। আগুনের ভয়াবহতা এতো বেশি ছিল যে পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা যাচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এটি হতে পারে। আগুনে এক গৃহবধূর মৃত্যু, ১৩টি বসত ঘর ও ১২টি ছাগল মারা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখন তাৎক্ষণিক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত করে বিষয়টি জানানো যাবে।