Advertisement
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
শনিবার ২৯ মার্চ সকাল ১১টায় ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার্থীর মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন বিদ্যালেয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। ঈদ মানেই আনন্দের উৎসব, কিন্তু সবার জন্য তা সমানভাবে আনন্দ বয়ে আনে না।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ঈদ যেন হয় আরও রঙিন, সেই লক্ষ্যেই আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মিন্টু প্রতিবছরের মতো এবারও ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী পাঠিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিমানুর রহমানের সঞ্চালনায় এই অনন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালেক মিন্টুর পিতা আব্দুল লতিব মাস্টার, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক ওয়াহেদুজ্জামান সরকার, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, গবেষক ও সমাজকর্মী অধ্যক্ষ ইমাম হাসান মুক্তি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, সালাহ্ উদ্দীন, এনটিভির অনলাইন প্রতিবেদক লালপুর-বাগাতিপাড়া, সজিবুল ইসলাম হৃদয়, উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রকাশের নাটোর জেলা প্রতিনিধি সাব্বির আহম্মেদ মিঠু, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, দুলাল উদ্দীনসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ সামগ্রী হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে যে উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠে, তা দেখলে যে কারো চোখে জল এসে যেতে পারে। ঈদ সামগ্রী পেয়ে তারা যেন সত্যিকারের ঈদের আনন্দ খুঁজে পায়। ঈদ সামগ্রী প্যাকেটে ছিলো, চাল, ডাল, সোয়াবিন, আটা, লাচ্চা, মসলা, দুধ, সাবান, মেহেদি।
আমেরিকা থেকে প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মিন্টু জানান, “এই শিশুরাও সমাজের অংশ। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ। আমি চেষ্টা করি, যতদূর সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়াতে।”
সাংবাদিক সালাহ্ উদ্দীন বলেন, “সামাজিক দায়বদ্ধতার এমন উদ্যোগ আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এই শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে সেটাই প্রকৃত ঈদ আনন্দ।”
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমার মা মারুফা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী তার জন্য ঈদ মানেই শুধু দেখা আর বোঝা। কিন্তু এই উপহার পেয়ে ওর মুখে যে হাসি দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”আমার মিয়া খুব খুশি হয় প্রতিবার ঈদে স্কুল থেকে কিছু পাই বলে ছেলে মেয়ের সাথে ঈদ করতে পারি।
বিজয়ের মা ময়না বলেন-আমার ছেলি অনেক খুশি হয় প্রতিবার ঈদ আসলে চাইয়া থাকে এই উপহারের জন্য।বিদ্যালয়ের অটিজম আক্রান্ত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন আমি খুব খুশি।
এই উদ্যোগ শুধু একদিনের জন্য নয়, বরং সমাজে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধের এক অনন্য নিদর্শন। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকলে একদিন হয়তো সবাই মিলেই আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবে—নিঃশেষ উচ্ছ্বাসে, নিখাদ ভালোবাসায়।
সত্যিকার অর্থেই, শিশুর হাসির চেয়ে সুন্দর আর কিছু হতে পারে না। এই হাসি ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, ঈদ হয়ে উঠুক সবার জন্য আনন্দময়।