lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-24T15:51:30Z
অনিয়ম - দুর্নীতি

তেতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের চার কর্মকর্তার রাজত্ব

Advertisement




সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসে নিয়ম ভেঙ্গে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত রয়েছেন একই পরিবারের চারজন।



এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের উপ-পরিচালক মো.আব্দুল মতিন সবকিছু যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।


উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব,তার ছোট ভাই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাদ্দেকুর রহমান, মোসাদ্দেকুরের স্ত্রী শারমিন আক্তার,তাদের চাচাতো ভাই মির্জা শাহরিয়ার রাজিব। সবাই উপজেলার তিরনইহাট এলাকার বাসিন্দা। তারা যোগদানের পর থেকে র্দীর্ঘ সময়ে এ অফিসে কর্মরত থাকার কারণে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। অফিসে করছেন রাজত্ব।কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে সারের ডিলার, কেউ অফিস, আবার কেউ করছে ঠিকাদারিও। স্থানীয় কৃষকসহ সচেতন মহল অবিলম্বে ওই কর্মকর্তাদের তেঁতুলিয়া থেকে প্রত্যহার করে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল মোতালেব উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা,তিনি তেঁতুলিয়া কৃষি অফিসে যোগদান করেন ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে। পরে আব্দুল মোতালেব কৃষি অফিসটিকে পরিবারতন্ত্র বানিয়ে রাজত্ব করছে। তার আপন ভাই মোসাদ্দেকুর রহমান একই অফিসে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। মোসাদ্দেকুরের স্ত্রী শারমিন আক্তার ১০ বছর।


তাদের সম্পর্কে চাচাতো ভাই মির্জা শাহরিয়ার রাজিব কর্মরত রয়েছেন ১২ বছর ধরে। সরকারী বিধি মোতাবেক সংস্থাপন বিভাগ কর্তৃক ইস্যুকৃত (স্বারক নং ই ডি .এস এ-এ/৮২-২২৭ তাং ৬-৫-১৯৮২ ইং মূলে কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী একাধিক ক্রমে ৩ বছরের অধিক সময় একস্থানে চাকুরী করতে পারেন না, মর্মে নির্দেশ থাকা স্বর্থেও তারা একটানা কেউ ১৪ বছর কেউ ১০ বছর ধরে এ অফিসে কি ভাবে চাকুরী করে, যাচ্ছেন তা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কতৃপক্ষ কে ম্যানেজ করে তারা এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।



স্থানীয়দের অভিযোগ আব্দুল মোতালেব ফ্যাসিস্ট সরকারের তৎকালীন এমপির সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের টিআরের টাকায় গাছ রোপন প্রকল্পের ঠিকাদারী করেছেন। কৃষি অফিসটিকেও করেছেন নিয়ন্ত্রণ। কোন সংবাদকর্মী তথ্য নিতে গেলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস দেখিয়ে দেন মোতালেবকে। পরে মোতালেব বিভিন্ন কিছু বুঝিয়ে তথ্যের আবেদন জমা না নিয়ে ফিরিয়ে দেন।


অভিযোগ রয়েছে, সারের ডিলারের সাথে চুক্তি করে দুই মাসের একটি ডিও দেন ডিলারকে, একটি নিয়ে যায় তাদের দোকান তিরনইহাটে। সার সংকটের সময় উপজেলায় অন্য কোথায় না পেলেও তাদের দোকানে সার পাওয়া যায়। তারাও নিদিষ্ট লোকের কাছে অধিক মুল্যে বিক্রি করেন। 



এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা, বিভিন্ন সার বীজ বিতরনেও করেন স্বজনপ্রীতি। যা ইতি পূর্বে অনেক অভিযোগ হলেও রয়েছেন বহাল তবিয়তে।


কৃষি অফিসে তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি রনি মিয়াজির নামে চাঁদাদাবীর অভিযোগও করেছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রাস্তায় অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মির্জা শাহরিয়ার রাজিব, মোসাদ্দেকুর রহমান, ইলিয়াস ফারুক ও আব্দুল মোতালেব। দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার সংবাদ কর্মী ইকবাল বাহার বলেন , তথ্য অধিকার আইনের আবেদন ফরম পুরন করে অফিসে জমা দিতে গেছি।কর্মকর্তা মোতালেবকে দেখিয়ে দেন।সেখানে গেছি তিনি আবেদনপত্র গ্রহন না করে আমাকে অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করেন।