lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-26T10:23:29Z
ব্রেকিং নিউজ

দেবীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত পাঁচ বছরের শিশু; আতংকে এলাকাবাসী

Advertisement


 


সজীব আহাম্মেদ,দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়):

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন মুয়াজ আব্দুল্লাহ নামে পাঁচ বছরের এক শিশু। পাগল কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় আতংকে রয়েছেন এলাকাবাসী।


শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দেবীগঞ্জ পৌরসভার সবুজ পাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।কুকুরের কামড়ে আহত মুয়াজ আব্দুল্লাহ  দেবীগঞ্জ পৌরসভার সবুজ পাড়া এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,  শুক্রবার বিকেলে শিশু মুয়াজ আব্দুল্লাহ তার বোনসহ পতিবেশী অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এমন সময় হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে মুয়াজের পায়ে কামড় দিয়ে মাংস ছিঁড়ে ফেলে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশি এবং বাড়ির লোকজন দৌড়ে এলে কুকুরটি পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসেন।


এবিষয়ে মুয়াজের মা মিনু আরা বেগম বলেন, বাচ্চাটা বাড়ির সমানে খেলতেছিলো। হঠাৎ করে একটি পাগল কুকুর এসে তাকে কামড়ে নেয়। তার পায়ে গভীর ক্ষত হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে ড্রেসিং করিয়েছি। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় পঞ্চগড় গিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে।


এদিকে দিন দিন দেবীগঞ্জে পাগল কুকুরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই মানুষসহ গৃহপালিত পশুকে কামড়ে আহত করছে কুকুরগুলো। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু ও বৃদ্ধরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।  


এ প্রসঙ্গে মোঃ নাবিউল হাসান নামে স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, আমাদের এলাকায় পাগল কুকুরের উৎপাত এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানো কিংবা রাতে বাইরে বের হওয়া নিয়ে পরিবারগুলো আতঙ্কে থাকে। প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

 


এবিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কুকুর নিধন করা সম্ভব নয়। তবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা খুব শীঘ্রই পৌর এলাকায় কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে র‍্যাবিসসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।