lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-17T04:32:08Z
জাতীয়

ডোমারে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভারতে দেওয়া নির্যাতনের বিবৃতি সত্য নয়

Advertisement


 

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সুজন রায়, মাধবি রানী, মাধবীর বোন নিন্দ্রা রানী ও মাধবীর ছেলে সমদিপকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি সীমান্তে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। তাদের বাড়ী উপজেলার ৪নং জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের বেতগাড়া গ্রামে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কারনে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ সেখানে আটকের পর ভারতীয় এসআই নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিজ এলাকা বেতগাড়ায় তাদের  উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঘটনার সন্ধানে সাংবাদিকরা বেতগাড়া গ্রামে গেলে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপর কোন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় এলাকাবাসীসহ ও সুজনের পরিবার।

সুজন রায়ের বাবা সুনীল চন্দ্র বলেন, বুড়িমারীর এক দালালের মাধ্যমে ৭০হাজার টাকায় অবৈধ উপায়ে তাদের পরিবারের চারজনকে ভারতে পাঠাতে চুক্তি করি। সেই মোতাবেক ১১ এপ্রিল পরিবারের চারজন সদস্যকে তিনি ভারতে পাঠিয়ে দেন। ১২ এপ্রিল ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তারা ভয়ে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে ভারতীয় পুলিশ ও ভারতের সাংবাদিককে জানান। তারা কেন এ রকম মিথ্যা কথা বলেছে সেটা আমি বলতে পারবোনা। তিনি বলেন ছোট থেকে বড় হলাম এখানে আমরা কোন রকমের নির্যাতনের শিকার হইনি। এখানে যদি আমাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দিতো তাহলে আমি এখানে দোকান করছি কিভাবে। তারা যেসব কথা বলেছে ছাড়া পাওয়ার আশায় মিথ্যা কথা বলেছে। যেটা তাদের বলা উচিত হয়নি।

সুনীলের ভাই কোকিল চন্দ্র বলেন, গত কয়েক মাস আগে সুনীল তাদের বাড়ী ভিটা চুপ করে বিক্রি করে স্থানীয় মিষ্টার নামে এক ব্যক্তির কাছে। বাড়ী বিক্রির কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীলফামারীতে জমি কিনে বাড়ী করবো তাই বিক্রি করেছি। তবে স্থানীয়রা বলেন, সুনীলের বাড়ীটি সরকার থেকে করে দেওয়া। অথচ তিনি চুপ করে বাড়ী বিক্রি করে দুই ছেলেকে অবৈধভাবে ভারতে পাঠিয়েছেন। হয়তো তিনিও ভারতে চলে যাওয়ার পরিবল্পনা করছেন। স্থানীয়রা আরো বলেন, কেন তারা দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করছেন সেটা তদন্ত করে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা উজ্বল কানজিলাল বলেন, ঘটনা শুনে আমরা এখানে এসে দেখি ঘটনা ভিন্ন। তারা অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করায় তাদের গ্রেফতার করা হলে তারা দেশের বদনাম করে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে। এখানে এসে দেখি সুজনের বাবা বাড়ীর সামনে দোকান করছেন। তাদের বাড়ী ঠিকই আছে। অথচ তারা ভারতে বলেছে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। সেটা তারা মিথ্যা বলেছে।

একই এলাকার রবিউল আলম ভুট্টু বলেন আমাদের বেতগাড়া শান্তি প্রিয় এলাকা। এখানে হিন্দু মুসলমান সবাই মিলেমিশে আমরা বসবাস করে আসছি। আমাদের মধ্যে কোন প্রকার ভেদাভেদ নেই। এখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভালো আছে। তারা তো কোন নির্যাতনের শিকার হয়নি। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় আটক হয়ে এখন মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। যা দেশের ভামমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর ডোমার উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কোন প্রকার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। তারা শান্তি পুর্ন ভাবে বসবাস করে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের যে কোন বিপদে আপদে আমরা সব সময় তাদের পাশে রয়েছি।যারা দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে মিথ্যাচার করছে তাদের আইনের আত্ততায় নিয়ে আসা উচিত।

স্থানীয়রা বলেন,সুনিলের ছোট ছেলেকে সে আগেই ভারতে পাঠিয়েছে। এবার তার বড় ছেলে ও বৌমাকে পাঠিয়েছিল ভারতে সেখানে তারা ধরা পরায় তাদের আসল রুপ বেরিয়ে এসেছে।