Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
স্থানীয় সরকারের পুর্ব দুধকুমার পাড়ের বল্লভেরখাস ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ী সচিবের অনুপস্থিতি, অবহেলা আর অনিয়মে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিরা সরকারের নাগরিক সেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। গত ৩৮বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলছে ভারা ঘরে। সচিব আতাউরের বিরুদ্ধে এটিএন নিউজে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পুর্ব দুধকুমার পাড়ের বল্লভেরখাস ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নেই গত ৩৮বছর ধরে। ভারা ঘরে চলছে সকল কার্যক্রম। ইউনিয়নবাসীর সরকারি সেবা গ্রহণ আর সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমের পাশাপাশি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কৃষি অফিসসহ তথ্য সেবা কেন্দ্রের সেবাও তেমন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এছাড়াও নেই সামাজিক নিরাপত্তা। অস্থায়ী ভারা ঘরের ইউনিয়ন পরিষদ। কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আতাউর রহমান দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে বল্লভেরখাস ইউনিয়নে। অভিযোগ রয়েছে, অস্থায়ী সচিব আতাউর রহমানের অনুপস্থিতি, অবহেলা ও অনিয়মের কারণে নাগরিক সেবাসহ ইউনিয়ন সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স পেতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন এই ইউনিয়নের প্রায় ৪০হাজার জনসংখ্যা। কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নায়কেরহাট বাজারের স্থানী বাসিন্দা সচিব আতাউর রহমান কৌশল ও ক্ষমতার দাপটে গত তিন বছর থেকে নিউ ইউনিয়ন কচাকাটা ইউপি সচিবের দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। আতাউর রহমান কচাকাটা ইউনিয়নের সচিবের সুবাধে ২০২২সালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত পিলার নং-১০২৩ সংলগ্ন ওপাড়ে ভারতের ধুপড়ি জেলার বিন্নারছড়া থানার সাতঘুরিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেনের নিকট মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে কচাকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঝিজ্ঞিরার বালার চর গ্রামের ছাবেদ আলীকে পিতা ও মমেনা বেগম কে মাতা দেখিয়ে শাকিল কে গত- ২৮ডিসেম্বর ২০২২সালে ১৯৯৮৪৯১৬১৩৭১২৪৪৯১ নং অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন অন্তর্ভুক্ত করে ভারতীয় ব্যক্তি শাকিল কে বাংলাদেশের নাগরিক করে। জন্ম নিবন্ধনের কাগজ দিয়ে গত মাসে ভোটার আইডি কাজ শেষ করে এখন ঢাকায় কর্মরত এবং ডুবাই যাওয়ার প্রকৃয়া চলছে।
বল্লভেরখাস ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে সচিব বেপরোয়া ওঠে ওঠেন। অতি কৌশলে ইউপি সদস্যদের মাঝে ক্রোন্দল ও বিবেধ সৃষ্টি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী প্রকল্পে অর্থ দাবি করে আসছেন। সচিবের অর্থ দাবি না মানায় সাপ্তাহে একদিনও ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। সচিবের অনিয়মের বিরুদ্ধে সকল ইউপি সদস্যরা নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা দ্রুত নতুন সচিবের দাবি জানাচ্ছি।
বল্লভেরখাস ইউনিয়নের এনামুল হক, বকুল, আব্দুল করিম, জব্বার হোসেনসহ অনেকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আর অস্থায়ী সচিবের অনুপস্থিতি ও অনিয়মে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার। সাপ্তাহে একদিনও সচিব ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। ইউনিয়ন সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স পেতে নায়কেরহাট সংলগ্ন সচিবের বাড়িতে যাইতে হয়। আমরা ব্যাপক হয়রানীর শিকার।
বল্লভেরখাস ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর জামাল জানান, নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য জমি রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন আর স্থানী সচিবের দাবি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট চলছে। ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ সহ জনগণের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত নতুন সচিব দেয়া হবে।