lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-25T11:53:03Z
জাতীয়

আমতলীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

Advertisement


 

এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:

আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করছেন। এতে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ লোকের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে। 


জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বীম ভেঙ্গে সেতু নরবরে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ওই নরবরে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার ওইখালে আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আবু ছালেহ ও বাদল মল্লিকসহ কয়েকশত মানুষ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বাঁধ নির্মাণ হলে তিন উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।  


হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এ বাঁধ নির্মাণ  শেষ হলে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা তাদের পন্য নিয়ে অনায়াতে যাতায়াত করতে পারবে। 


আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। ওই সেতু চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় এলাকাবাসী মিলে খালে বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছি। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে তিনটি উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলের পথ সুগম হবে। তিনি ওই খালে  সরকারীভাবে গাডার সেতু নির্মাণের দাবী জানান।


আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ওই খালে গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেও দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করা হবে।