lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-06T12:34:01Z
আইন ও অপরাধ

বোয়ালমারীতে হতদরিদ্রের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ আ'লীগ নেতার বিরুদ্ধে

Advertisement


 


ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের শেলাহাটি গ্রামে দিনমজুর মোসা. সামেলা বেগমের (৪৫) বসতবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিল উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুভাষ সাহা। এ ঘটনায় সামেলা বেগম বাদী হয়ে রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সুভাষ সাহা (৬৮) ও তার ম্যানেজার গোবিন্দর (৫৫) নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞত আসামি করে  স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে সুভাষ সাহা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। সুভাষ সাহার বাড়ি সাতৈর ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামে।


সরজমিন ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামেলা বেগম স্বামী সন্তান নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর শেলাহাটি গ্রামে রেলের জমিতে বসবাস করে আসছে। পাশেই সুভাষ সাহার জমি রয়েছে। ওই রেলের জমি টুকু পাওয়ার জন্য সুভাষ সাহা মরিয়া হয়ে উঠে। বেশ কিছুদিন ধরে সুভাষ সাহা ও তার লোকজন বিভিন্ন সময় বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) মহিলা বাড়ি না থাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে আগুন দিয়ে বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়। 


সামেলা বেগম বলেন, সুভাষ সাহা বিভিন্ন সময় বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। শনিবার রাতে তার লোকজন দিয়ে আগুন ধরিয়ে বসতবাড়ি পুরাই দিয়েছে। এ সময় ঘরে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। ঈদের সময় মানুষের কাছ থেকে আনা যাকাতের টাকা, মানুষের কাছ থেকে চেয়ে আনা চাল বিক্রির মোট ৫০ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়। এখন আমি সর্বহারা হয়ে গেলাম।


একই গ্রামের হাবিল বিশ্বাস বলেন, সুভাষ সাহা নিজে ও তার লোকজন বিভিন্ন সময় ঘর বাড়ি ভেঙে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। গত শনিবার রাতে তার লোকজন দিয়ে আগুন ধরিয়ে বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়েছে।


প্রতিবেশী সেলিনা বেগম বলেন, সুভাষ সাহা বিভিন্ন সময় এখানে এসে বসত বাড়ি  ভেঙে নেওয়ার হুমকি দিয়া আসছে।


সুভাষ সাহা বলেন, আমি সামেলা বেগমের বাড়ি পুরাইনি। তার অন্য জায়গা বাড়ি  তৈরি করে দেয়ার চেষ্টা করছি। সামেলা বেগম আমার জমিতে বসবাস করে।


থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বাড়ি পুড়ানোর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।