Advertisement
আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা ::
উত্তর জনপদের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাইবান্ধার পৌর শহরের ঢাকা রংপুর মহাসড়কের জমি অধিগ্রহনের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে সাসেক প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। পৌর শহরের বৈষম্য মুলক ভাবে অধিগ্রহনকৃত জমিতে দায়সারা ভাবে মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ করা হলে স্থানীরা রয়েছেন চরম ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে লেগে থাকেছে ছোট বড় যানজট। এ যানজটের মুল কারণ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠার গড়ে তোলায় নির্মাণধীন সড়কের উপর দিয়ে যেতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের। এছাড়াও চলাচল কারি যানবাহন গুলোকে যাত্রী ও মালামাল উঠা নামায় সড়কের উপরেই দাড়াতে হচ্ছে। অপরদিকে মহাসড়কে যানজট নিরসনে সেনাবাহিনী, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে থানা পুলিশ,পলাশবাড়ী থানা পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় মুল সড়ক হতে ধীরগতির সড়ক দিয়ে সকল যানবাহন চলাচল করায় ধুলার শহরে পরিণত হয়ে পৌর শহর। মহাসড়কের নির্মাণ কাজের ধুলাবালি প্রতিরোধে দেওয়া হচ্ছে না পানি এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। ফুটপাত দখল থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একই সড়কে চলাচল করছে পথচারীরা।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের ফায়ার সার্ভিস সামন হতে ব্রাক মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অধিক গ্রহন কৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মহাসড়কের পাশে থাকা ফুটপাতের অংশে সম্পূর্ণ উদ্ধার করতে পারেনি সাসেক প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। এ প্রকল্পের নকশার কাজের ভিতরের সড়কের মুল অংশ উদ্ধার করে এবং নকশা অনুযায়ী ফুটপাতের অংশ বেদখলে রেখে দায়সারা ভাবে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ করে চলছেন তারা । যানজটের কারণে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের দক্ষিণবন্দর হতে উত্তরবন্দর জমি অধিক গ্রহন করা হয়েছে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে সাসেক এর এখনো বেদখলে রয়েছে ফুটপাতের জমি। যেখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ দখলকারি ছোট বড় ব্যবসায়িরা। এছাড়াও অবকাঠামোর টাকা নেওয়ার পরেও ফুটপাতের অংশ দখল করে আছে জমির সাবেক মালিক পক্ষের ছোট বড় স্থাপনা যেসকল আবার জমানত নিয়ে দেওয়া হয়েছে ভাড়া।
উক্ত নির্মাণকাজের স্থলে থাকা সাসেক প্রকল্পের প্রকৌশলীরা জানান,আমাদের নকশা অনুযায়ী সড়কের কাজ চলছে ফুটপাতের অংশ একাধিক স্থানে যেমন কমবেশী আছে তেমনি ফুটপাতের জায়গার অংশ এখনো বেদখল রয়েছে। অধিগ্রহনকৃত জমি যে ভাবে যতটুকু উদ্ধার আছে তাতে আমাদের কাজ চলমান আছে পরবর্তী ফুটপাত বের করা হবে । নির্মাণ কর্মীরা দাবী করেন, প্রকল্পের কাজ শুরু হতে আজ পর্যন্ত ফুটপাত দখলকারীদের অসহযোগীতার মধ্য দিয়ে কাজ সম্পন্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় শহরের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।এটা স্বাভাবিক তবে ফুটপাত গুলো এসময় দখল হওয়ায় ভোগান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
এবিষয়ে সাসেক প্রকল্পের উপ পরিচালক সুজাত আলী খান জানান, পৌর শহরের মহাসড়কের নির্মাণাধীন অংশসহ অন্যান্য স্থানে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে। ফুটপাত দখলের বিষয়ে তিনি আরো জানান, সড়কের ফুটপাত দখলমুক্তসহ সড়কের সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন স্থানীয় সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা নিয়ে মহাসড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করে ফুটপাত দখলমুক্ত করো সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো।
উল্লেখ্য, মহাসড়কের এ উন্নয়ন কাজে অধিগ্রহন কৃত জমি উদ্ধার কাজ সম্পূর্ণ করে মহাসড়কের নির্মাণ কাজের নকশা অনুযায়ী ফুটপাত অংশ দখল মুক্ত রেখে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রাখার জন্য সাসেক প্রকল্পের ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।