lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-05T08:02:34Z
রাজনীতি

বিএনপির কোনো কর্মীর ওপর ফুলের টোকা পড়লে আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে: শামা ওবায়েদ

Advertisement


 

বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

বিএনপির কোনো কর্মীর ওপর ফুলের টোকা পড়লেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগীয়) শামা ওবায়েদ। ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 



আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সংঘর্ষস্থল উপজেলার  মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শামা ওবায়েদ ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।



পরিদর্শনকালে তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার মাতুব্বরকে ঘটনার জন্য দায়ী করেন এবং তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। 



তিনি বলেন, যদি আফছার চেয়ারম্যান এই সমাজে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে চলতে হবে। আর যদি এ ধরনের অন্যায় কাজ করে  তাহলে তাকে আইনের আওতায় নেব। 



তিনি আরও বলেন- আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, বিএনপি কারো উপর নির্যাতন করতে চায় না। কেউ যদি বেগম খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের কিংবা আমার কোন নেতার কর্মীর উপর ফুলের টোকা দেয় তাহলে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। আমরা সালথায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে চাই। সেই শান্তি যদি কেউ বিনষ্ট করে, অশান্তি তৈরি করে তাদের কাউকে প্রশাসনের ছাড় দেয়া উচিত না। 



স্থানীয় বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়াকে নিরাপদ দাবি করে তিনি বলেন, মিন্টুর দোষ ছিল রোজার মাসে বিএনপি'র ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া। এ কারণে নিরাপরাদ লোকের বাড়িতে হামলা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। 



এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এছাড়া এ ঘটনা সাথে দলীয় নেতা কর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের পথে আনার কথা জানান।



অপরদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসেনের সাথে। তিনি দাবি করে বলেন, আমার বাবার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ঘরে রয়েছে। বাবা কেন নেতৃত্ব দিতে যাবে। চাঁদা চাওয়া নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।



এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০টি বসতঘর ভাংচুর সহ দুটিতে আগুনও দেয়া হয়। এছাড়া আহত হোন ২৫ জন। এ ঘটনায় এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা।



এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ  অভিযোগ দেয়নি বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন। এছাড়া কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি বলে জানান।