lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-07T15:00:03Z
ব্রেকিং নিউজ

ঈশ্বরদীতে জনকল্যাণমূখী সংগঠন আহবান'র বাইসাইকেল বিতরণ ‎

Advertisement


 

স্টাফ রিপোর্টারঃ 

পাবনার ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করায় ৬ জন তরুণকে পুরস্কার হিসেবে সাইকেল উপহার দিয়েছে ‘আহ্বান’  জনকল্যাণমুখী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিষদ।

‎সোমবার (৭ এপ্রিল) উপজেলার রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে এই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

‎এ সময় কোরআন শিক্ষা গ্রহনকারী ষাটোর্ধ ৪ জন মুসল্লী, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ২ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

‎নতুন রুপপুর বিশ্বরোড জামে মসজিদের সভাপতি শহিদুর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ।

‎অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন খান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম রাজা, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফজলুল হক, পাবনা জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি নাজমুল হাসান সহ অন্যান্যরা।

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, ‘তরুণদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এগুলো তাদের আগামী দিনের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।'

‎তিনি আরও বলেন, ‘আহ্বান-এর মতো সংগঠন আমাদের সমাজে আরও বেশি প্রয়োজন। শুধু নামাজ নয়, সমাজের কল্যাণমূলক নানা কাজের জন্য এমন সংগঠন গড়ে তোলা ও তাদের পাশে থাকা খুব জরুরি।’

‎‘আহ্বান’ সামাজিক সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “তরুণ সমাজকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে ও নামাজের প্রতি আগ্রহী করতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

‎এ সময় সাইকেল পাওয়া ৬ জন তরুণের মধ্যে আনন্দের অনুভূতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা বলেন, ‌"এতো সুন্দর পুরস্কার পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এটা আমাদের জন্য বড় একটা প্রেরণা। এ রকম উদ্যোগ যদি নিয়মিত হয়, তাহলে আমাদের মত তরুণরা আরও বেশি মসজিদমুখী হবে।"

‎এদিকে আয়োজক ‘আহ্বান’ সংগঠনের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, এ ধরনের আয়োজন আরও সম্প্রসারিত হলে তরুণ সমাজ ধর্মীয় মূল্যবোধে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।