lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-09T04:10:44Z
সড়ক দুর্ঘটনা

আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:

আমতলী উপজেলার শাখারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান (৪৫) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ী নামক স্থানে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে। স্কুল শিক্ষকের অকাল মৃত্যুকে পরিবার, শিক্ষক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


জানাগেছে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান মঙ্গলবার সকালে নিজের মোটর সাইকেলে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ী নামক স্থানে পিছন দিক থেকে আসা যমুনা লাইন পরিবহনের গাড়ীতে শিক্ষকের মোটর সাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। ওই হাসপাতালে থেকে নেয়ার কিছুক্ষণ পরে  আমতলী হাসিনা ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের সামনে তার মৃত্যু হয়। শিক্ষক খলিলুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে পরিবার, শিক্ষক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মোমেন নিজাম বলেন, শিক্ষক খলিলুর রহমান আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ী নামক স্থানে যমুনা পরিবহনের গাড়ীর চাপায় মারা গেছেন।


শাখারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ স্বাথীয়া সুলতানা বলেন, সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি এক ভালো শিক্ষক ছিলেন।


আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, আমতলী মানুষ একজন ভালো শিক্ষক হারালো। এমন ভালো শিক্ষকের অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায়না। 


আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, শিক্ষক খলিলুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকে নেয়ার কিছুক্ষণ পওে তিনি মারা গেছেন।  


আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, নিহত শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের মরদেহ পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।