lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-12T12:48:03Z
ব্রেকিং নিউজ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চা শ্রমিকদের ফাগুয়া উৎসব উদযাপন

Advertisement


 


ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার: 

সারাদেশের চা শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮ নম্বর কালিঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা বাগান খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণিল ‘ফাগুয়া উৎসবে’। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং মৌলভাবাজার জেলা প্রশাসন ও ফাগুয়া উৎসব উদযান পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এবারের ফাগুয়া উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠানে উরেদ্বাধন ঘোষণা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন, থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ফিনলে টি কোম্পানি বালিশিরা ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাউদ্দীন, ফাগুয়া উৎসব উদযান পরিষদের আহŸায়ক প্রীতম দাশ, চা শ্রমিক নেতা পরিমল সিং বাড়াইক, চা শ্রমিক রত্মা তাঁতী প্রমুখ।

সন্ধ্যায় শুরু হয় দেশের চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় ভিন্নধর্মী নানা অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভোজপুরী সম্প্রদায়ের গুরুবন্দনা, কমেডি ও হোলি গীত, বাড়াইক সম্প্রদায়ের ঝুমুর নৃত্য, গড় সম্প্রদায়ের হোলি গীত, উড়িষ্যা সম্প্রদায়ের হাড়ি নৃত্য, পত্র সওরা ও চড়াইয়া নৃত্য, মাহাতো (কুর্মী) সম্প্রদায়ের ঝুমুর নৃত্য এবং তেলেগু সম্প্রদায়ের ডাল ও কাঠি নৃত্য। 

অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে ফাগুয়া উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক প্রীতম দাশ বলেন, ‘দেশের প্রায় সকল চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে এবারের উৎসব হয়েছে বর্ণিল। প্রায় পৌনে দুই শত বছর ধরে এদেশের চা শিল্পকে এগিয়েং নিয়ে যেতে যারা নিরন্তর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সেসব চা শ্রমিকদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদের এ আয়োজন।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে বাংলাদেশের সকল নৃগোষ্ঠীর সকল ধরণের সংস্কৃতি একসাথে তুলে ধরার জন্য এ বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা হারমনি ভেস্টিভালের আয়োজন করেছিলাম। এটি আগামী বছরও আবার হবে। এই প্রোগ্রাকে টার্গেট করে আমরা প্রতি বছর নানা সাংস্কৃতিক উৎসব করার জন্য একটি ক্যালেন্ডার করেছি। ক্যালেন্ডারের মধ্যে এই ফাগুয়া উৎসব ঐতিহ্যগতভাবেই অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এ বছর আমরা জেলা প্রশাসন ও উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে উদযাপন করেছি। চা শিল্পাঞ্চলে বাগান-বাগানে এ উৎসব আদিকাল থেকে উদযাপন হয়ে আসছে। দেশের সকল চা শ্রমিকদের সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এবং চা শ্রমিকদের অংশগ্রহণে এ উৎসবটি বৃহৎ অনুষ্ঠান করতে পেরেছি। আমি যে বা যারা উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’