lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-26T15:09:04Z
রাজনীতি

মাসুদ সাঈদীর হাত ধরে পিরোজপুরে ১৫ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জামায়াতে যোগদান

Advertisement


 

পিরোজপুর প্রতিনিধি  : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র, জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী হাত ধরে পিরোজপুরে সনাতন সম্প্রদায়েরর ১৫ জন ব্যাক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।



 শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট, পিটিআই, খালিশাখালী, রায়েরকাঠি এবং মরিচাল এলাকায় জামায়াত ইসলামীর পক্ষে গণসংযোগ করেন এবং মাসুদ সাঈদীর আহবানে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অসংখ্য মানুষ তার হাতে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করেন।



মাসুদ সাঈদীর হাতে জামায়াতের সহযোগী সদস্য ফরম পূরণকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার কুন্ড সাহা, বিশ্বজিৎ সাহা, জয় সাহা, সমিরণ দাস, উত্তম কুন্ড , নিতাই কুন্ড, অচিন কুন্ড, সুনীল দাস, বানেশ্বর গ্রামের  কৃষ্ণ রায়, কৃষ্ণ কুমার মাঝি, শিকারপুর এলাকার সুকান্ত মিস্ত্রী, কদমতলা এলাকার রতন কুমার শীল, পালপাড়া এলাকার নিতাই মন্ডল, সুকুমার রায়, মনিন্দ্র লাল সাহা, রাজারহাট এলাকার জয়দেব মিত্র।



গণসংযোগকালে পিরোজপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমীর মাওলানা ইসহাক আলী ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের সভাপতি সেক্রেটারীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



গণসংযোগকালে পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে আগে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দেশবাসীকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো মানুষ প্রাণ দিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা কতটা সফল? বৈষম্য এখনো রয়েছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। দূর্নীতি আমাদের সমাজ জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। 



সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দূর্নীতি দূর করে একটি শোষন বৈষম্যহীন নীতি ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।



আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। ৫ আগষ্টের বিজয় আমাদের পথ দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে একটি প্রকৃত বৈষম্যহীন কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি দেশ রেখে যেতে হবে, যেখানে তারা গৌরবের সঙ্গে বলতে পারবে—আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং বিজয়ের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি এবং সেটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।