lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-05T11:42:49Z
আইন ও অপরাধ

ছাগল খোঁয়াড়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গ্রেফতার ইউপি সদস্য

Advertisement


 

সজীব আহাম্মেদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) :

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছাগল খোঁয়াড়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন পাঁচ জন।


শুক্রবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার শালডাঙা ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামে মরিচ ক্ষেত নষ্ট অভিযোগে ছাগল খোঁয়াড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মরিচ ক্ষেতের মালিক ও তার ভাইদের মারপিটের শিকার হন।


মারপিটে একই এলাকার কৃষক লিপন ইসলাম, তার দুই ভাই স্বপন ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।


এঘটনায় গতরাতে ভুক্তভোগীর ভাই লিটন ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই মামলার প্রধান আসামি রাব্বি হোসেনকে গ্রেফতার করে। রাব্বি শালডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। মামলায় রাব্বির দুই দুই ভাই বাবলু ইসলাম ও জুয়েল রানাও একই মামলায় আসামি। তারা একই ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামের নাছিরুল ইসলামের পুত্র।


মামলার নথি ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সকাল ১১ টা'র দিকে লিপন ইসলামের মরিচ ক্ষেত খায় রাব্বিদের ছাগল। ক্ষেত নষ্ট করার কারনে ২ টি ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়ে আসে লিপন। এতে ক্ষিপ্ত হয় রাব্বিরা। তারা খোঁয়াড় থেকে ছাগল ছাড়িয়ে এনে পূনরায় বেশ কয়েকটি ছাগল লিপনের ক্ষেতে ছেড়ে দিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। পরে লিপন পূনরায় ছাগল ধরতে গেলে তার উপর আক্রমণ চালায় রাব্বি ও তার লোকজন। এসময় লিপনের অন্য দুই ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তারাও আক্রমণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় লিপন ও তার দুই ভাইকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


এছাড়া একই ঘটনায় রাব্বির দুই ভাই জুয়েল হক ও বাবলু হক আহত হয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তারাও বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


এদিকে আটক ইউপি সদস্য রাব্বির স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ঘটনার সময় আমার স্বামী টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী এলাকার খালেক ডাক্তারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।  মারামারির ঘটনায় তিনি কোন ভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছে। 


দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আবু নেমান বলেন, রোগীদের মাথায় একাধিক জখম ছিল, সেজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। 


এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে (শনিবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।