Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ সফল উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার হোসেনের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পারিবারিকভাবে পালিত হয়েছে। কোরানখানী ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমেই মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষ একজন বর্ষিয়ান নেতাকে হারিয়েছিল।
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন জিএম দেলওয়ার হোসেন। ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই ছাত্র লীগের সভাপতি হন ওই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ। ছাত্র রাজনীতিেিত যুক্ত হয়েই কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন এবং আর্ন্তজার্তিক ক্রক মিশন বাস্তবয়নে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচন এবং মুসলিমলীগ লীগ বিরোধী কফ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন তিনি। মুসলিম লীগ বিরোধী কফ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় তাকে জেলে যেতে হয়। দুই মাস তিনি জেল হাজতে ছিলেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়ে গুরুত্ব পদে আসিন হন। ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন। ৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রত্যাহারের আন্দোলন যুক্ত হন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তিনি ১৫ দিন জেল হাজতে যান। ১৯৬৯ গণঅভ্যূথান ও ১৯৭০’র নির্বাচনে দলের পক্ষে সংক্রিয়ভাবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। গঠন করেন সংগ্রাম কমিটি। আমতলী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হয়ে যুবকদের সুসংগঠিত করে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন এবং তিনি ভারতের (পিকার ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ছিপার অধীনে) প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় তিন মাস কারাভোগ করেছেন তিনি। কারাগার থেকে বের হয়েই তিনি আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৪ সালে তার দলীয় কর্মদক্ষতার কারনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন। ওই সময় থেকে অদ্য পর্যন্ত আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দলীয় কর্মদক্ষতায় সাধারণ মানুষ সস্থিতে রয়েছেন। দীর্ঘ ৫৭ বছর রাজনৈতিক জীবনে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়া কিছুই পায়নি। শুধু ২০১৪ সালে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ তাকে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়। নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।