Advertisement
এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:
তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজারের ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তার সহযোগীরা অবৈধভাবে গবাদী পশুর হাট বসিয়ে, কৃষি পন্য ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জহিরুল ইসলাম তাদের এমন অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে বরগুনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, গত মার্চ মাসে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজার তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দরপত্র আহবান করে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফরহাদ তালুকদার ওই বাজরের ইজারা পায়। বৈশাখ মাসের শুরুতেই ইজারাদার খাজনা আদায় শুরু করেন। শুরুতেই তিনি সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা ও অবৈধভাবে পশুর বাজার বসিয়ে তিনি খাজনা আদায় করছেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের তার সহযোগী ইদ্রিস হাওলাদার, নিজাম উদ্দির সরদার, কাওসার হাওলাদার ও সোহেল মিয়া তা মানছেন না। এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি পন্য বিক্রিতে কৃষকদের অতিরিক্ত খাজনা দিতে হচ্ছে। আরো অভিযোগ রয়েছে প্রতিদিন স্থানীয় কৃষকরা কৃষি পন্য বাজারে নিয়ে আসলে তাতেও তারা খাজনা আদায় করছেন। ফলে বাজারে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজারজাতকরণ বন্ধ করে দিয়েছেন। দ্রæত ইজারাদারের অবৈধ গবাদী পশুর হাট ও অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কৃষক আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও বাজারে পন্য বিক্রি করতে গেলে ইজারাদারদের খাজনা দিতে হচ্ছে। তাই ওই বাজারে কৃষি পন্য নিয়ে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
ব্যবসায়ী লতিফ ও সবুজ বলেন, ইজারাদার সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দ্বিগুন খাজনা আদায় করছেন। তারা আরো বলেন, ইজারাদার পণ্যে খাজনা তালিকা প্রকাশ করেনি। ফলে তাদের ইচ্ছামত খাজনা আদায় করছেন।
স্থানীয় জহিরুল ইসলাম বলেন, ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তার সহযোগীরা অবৈধ গবাদি পশুর হাট বসিয়ে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। তিনি আরো বলেন, কৃষি পন্যেরও তারা খাজনা আদায় করছেন। তাই অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছি।
কচুপাত্রা বাজার ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার বলেন, আমি সরকারী নির্ধারিত খাজনা আদায় করছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।