Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
ধান ব্যবসায়ী আল আমিন ঘরামীর সাড়ে চার লাখ টাকা ছিনতাই করলেন শ্রমিকলীগ নেতা ইলিয়াস জোমাদ্দার ও তার সহযোগীরা। ছিনতাইকৃত টাকা বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের জোমাদ্দার ও জামায়াত নেতা শাহ জালাল পিয়াদা উদ্ধার করেছেন। কিন্তু ছিনতাইকারী শ্রমিকলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেননি তারা। আওয়ামীলী - বিএনপির এমন মধুর বন্ধনে তালতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ধান ব্যবসায়ী আল আমিন ঘরামী তালতলী বাজার থেকে ধান বিক্রির সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে অংকুজানপাড়া বাড়ীতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি ইলিয়াস জোমাদ্দার তার সহযোগী জসিম ঘরামী ও জহিরুল ঘরামী তাকে ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তার সঙ্গে থাকা সমুদয় টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের জোমাদ্দার ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ তালতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল পিয়াদা মিলে ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে চার লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছেন। কিন্তু তারা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়নি। আওয়ামীলীগ-বিএনপির এমন মধুর বন্ধনে তালতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করা টাকা বিএনপির নেতা শ্রমিকলীগ নেতার কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। এমন কাজে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ধান ব্যবসায়ী আল আমিন ঘরামী বলেন, আমার টাকা স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দিচ্ছেন। আমি ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেব না।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের জোমাদ্দার বলেন, ধান ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া সমুদয় টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ছিনতাইকারীদের পাওয়া যায়নি।
তালতলী উপজেলা শাখার জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল পিয়াদা বলেন, টাকা উদ্ধার শেষ হলেই ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবসা নেয়া হবে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহজালাল বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।