Advertisement
ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শেরপুর এলাকায় অবস্থিত জামেয়াতুল ফালাহ মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে শেরপুর এলাকাস্থ জামেয়াতুল ফালাহ মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় জড়িত চান মিয়াসহ তিন জনকে পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকায় অবস্থিত জামেয়াতুল ফালাহ মাদরাসা ও এতিমখানা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন ওই এলাকার চান মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চান মিয়ার লোকজন মাদরাসার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। মাদরাসার শিক্ষকরা ড্রেন বন্ধের কারন জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে চান মিয়ার নেতৃত্বে কতিপয় লোক সশস্ত্র অবস্থায় মাদরাসায় হামলা চালায়। এতে মাদরাসার বেশ কয়েকজন ছাত্র-শিক্ষক আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চান মিয়াসহ তিন জনকে আটক করে। আটকরা হলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার হরমুজ উল্লাহর ছেলে চান মিয়া (৪৫), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২) ও তার ছোট ভাই খালেদ মিয়া (২৭)।
মৌলভীবাজার সদর থানাধীন শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাস বলেন, ‘মাদরাসার ড্রেন বন্ধ করার ঘটনা নিয়ে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে একটি পাইপগান, দা, কুড়াল, অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’