Advertisement
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :-
ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক’র ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। দিবসটি উপলক্ষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পারিবারিকভাবে দোয়া, মিলাদ মাহফিল, কোর’আন তেলাওয়াত ও স্থানীয় মসজিদ গুলোতে মিলাদ ও দোয়ার অায়োজন করা হয়েছে। আ.ক.ম ইসহাক ২০০৫ সালের ২৭শে এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
বহুমুখী প্রতিভা ও মানবিক গুনাবলীর অধিকারী, আপামর গন-মানুষের পরম আস্থাভাজন, নির্লােভ, নিরহংকারী দল-মত নির্বিশেষে অত্র অঞ্চলের সকল মানুষের নিকট তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র। মাটি মানুষের জন্য আজীবন লড়াকু সাংগঠনিক নেতা "ইসহাক মিয়া" নামে তিনি সর্ব মহলে পরিচিত ছিলেন।
দক্ষ সংগঠক আ.ক.ম ইসহাক মিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম বর্তমান প্রজন্মের তরুন রাজনীতিকদের অনেকেরই অজানা। তিনি ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আ'লীগের সোনাগাজী থানার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসহাক মিয়াকে কুমিল্লা সেনানিবাসে একটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান এবং সেখানে বিএনপিতে যোগদানের অনুরোধ করেন- জিয়াউর রহমানের অনুরোধে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন ও সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেন।
আ.ক.ম ইসহাক ফেনী জেলাধীন সোনাগাজী উপজেলার বাখরিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব আবদুস সাত্তার ও মাতার নাম নজমুন নেছা বেগম। অথচ দেশ মাতৃকার এ বীর সন্তানের সংগ্রামী জীবন ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের রাজনীতিকদের জন্য অনুকরনীয় হতে পারে।
আ.ক.ম ইসহাক সম্পর্ক তথ্য অনুসন্ধানকালে তার পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সােনাগাজী উপজেলার সভাপতি হাসান মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর নেতা খালেদ মাহমুদ মাসুদ জানান- আমার বাবা দেশ মাতৃকার কল্যানে নিজের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে অসীম ত্যাগ স্বীকার করে আমরন আন্দােলন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোন কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করেননি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে পৃষ্ঠপােষকতা করেছেন।
অনেক গরীব শিক্ষার্থীর পড়া-লেখার সুযােগ করে দিয়েছিলেন। গৃহহীনকে ঘরের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। ভূমিহীনকে সরকারী খাসজমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সরলপ্রান ধার্মিক মানুষ ছিলেন। সারা জীবনের সংগ্রাম সাধনাকে অমর করে রাখতে তার নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরনের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জাের দাবি জানান।
পিতার ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আ.ক.ম ইসহাক এর সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক মামুন মাহমুদ।