lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-24T15:57:22Z
আইন ও আদালত

তালাকের তথ্য গোপন করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক,আদালতে ধর্ষণ মামলা

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:

স্ত্রীকে তালাকের তথ‌্য গোপন করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওই নারী তার  বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করেন আমতলী থানার ওসিকে এজাহার ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলার তালুকদার পাড়া গ্রামের সালাউদ্দিন শরীফের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩২) সঙ্গে ২০১২ সালে আমতলী উপজেলার  ওই নারীর বিয়ে হয়।  ওই দম্পতির  ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ওই নারী আমতলী শহরে সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তার  স্বামী মাহবুবুর রহমান পিরোজপুর জেলার আনসার ভিডিপি অফিসে কর্মরত। ওইখানে থাকা অবস্থায় তিনি পরকিয়ার জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ার জেরে তিনি স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছেন এমন অভিযোগ স্ত্রীর।  তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে তার নিকট যৌতুক দাবিতে নির্যাতন করে আসছে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না  পেরে তিনি তার  বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান মামলা তথ্য জানতে পেয়ে এ মাসের ৬ এপ্রিল  স্ত্রীকে গোপনে তালাক দেয়। আসামি গত ১১ এপ্রিল বাদির বাড়িতে আসেন এবং আপোসে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে রাতে দৈহিক মেলামেশা করেন। পিরোজপুর গিয়ে গত ১৫ এপ্রিল তালাকের কপি ম‌্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই নারী সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনা নারীও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করেছেন।  

মামলার বাদীর অভিযোগ, আমার স্বামী গত ১১ এপ্রিল বাসায় আসেন। আমার সঙ্গে আপোসের কথা বলে রাতে মোলামেশা করে। বাসা থেকে গিয়ে গত ১৫ এপ্রিল তালাকের কপি আমার ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়। তাতে উল্লেখ আছে, আসামি আমাকে ৬ এপ্রিল তালাক দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তালাক গোপন রেখে আমার সঙ্গে রাতে শারিরীক সম্পর্ক করেছে। তারমানে তিনি আমাকে জেনে শুনে ধর্ষণ করেছে। আমি এ ধর্ষকের শাস্তি দাবী করছি। 

এ ব‌্যাপারে জানতে আসামি মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন  বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন,  আদালতের নথি পেলে আদেশ মতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।